জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সির বাসা থেকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অন্যান্য অলংকার চুরির মামলায় গৃহকর্মী মোছা. তাহমিনা ও তার স্বামী শাকিলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিন আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক ছাদেক মিয়া। কিন্তু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে না আসায় তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়ে আগামী ২ মে তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত।
ন্যান্সি জানান, গত ১৭ এপ্রিল বাসার ওয়্যারড্রব পরিষ্কার করতে গিয়ে চুরির বিষয়ে টের পান। কারণ সেখানে থাকা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের স্বর্ণপদক এবং আরও কিছু জুয়েলারি খুঁজে পাননি তিনি।
এ ঘটনায় ২৬ এপ্রিল রাজধানীর গুলশান থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এই গায়িকা। অভিযোগে সন্দেহভাজন হিসেবে উল্লেখ করেছেন নিজ বাসার দুই গৃহকর্মীর নাম।
এ প্রসঙ্গে ন্যান্সি বলেন, ‘আমি বাসার দুই গৃহকর্মীকে সন্দেহ করছি। দুজনই খুব অস্বাভাবিক কারণ দেখিয়ে কাজ ছেড়ে চলে গেছেন। শুরুতে চুরির ঘটনাটি পুলিশের কাছে মৌখিকভাবে জানাই। তারা এসে সহজে বিষয়টির সমাধানের চেষ্টা করেছেন; কিন্তু সন্দেহভাজনরা অস্বীকার করায় শেষপর্যন্ত থানায় লিখিত অভিযোগ দিলাম।’
এদিকে চুরির ঘটনায় ন্যান্সি বেশ কষ্ট পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘অন্য যেসব জুয়েলারি নিয়েছে, সেগুলো নিয়ে আমার আক্ষেপ নেই। আমার ব্যবহৃত অলংকার ভবিষ্যতে আমি আবারো কিনে নিতে পারব; কিন্তু পুরস্কার, সম্মান তো কেনা যায় না। তাছাড়া এ পুরস্কার আমার জন্য অনেক স্পেশাল। কারণ এটি আমার প্রথম ও একমাত্র জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। আর যতদূর জানি, আমি যখন পুরস্কারটি পাই, তখন সর্বকনিষ্ঠ গায়িকা হিসেবে পেয়েছি। সুতরাং এটা ঘিরে আমার আবেগ আসলে বলে বোঝানো যাবে না।’
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে ‘প্রজাপতি’ সিনেমায় ‘দু দিকেই বসবাস’ গানের জন্য শ্রেষ্ঠ গায়িকার পুরস্কার পান ন্যান্সি। সেটাই চুরি হয়েছে তার বাসা থেকে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।